Homepage
হোম স্মার্ট ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে উন্মুক্ত ড্যাশবোর্ড

ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে তৈরিকৃত ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে ধারণা পেতে ‘উন্মুক্ত ড্যাশবোর্ড’-এ প্রদানকৃত নমুনা ড্যাশবোর্ড ভিজিট করুন। স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ গত ৯-১১ জুন, ২০২৪ তারিখে "স্মার্ট ড্যাশবোর্ড বাস্তবায়ন কর্মশালা" অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মার্ট ড্যাশবোর্ড এর যাত্রা উন্মোচন করেছে। Please visit the sample dashboards provided in 'Open Dashboard' to get an idea of a dashboard created using the National Dashboard Framework. ICT Division unveils Smart Dashboard by hosting the "Smart Dashboard Implementation Workshop" on June 9-11, 2024 to accelerate Smart Bangladesh Vision 2041.

স্মার্ট ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে
বাংলাদেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংস্কৃতি প্রচলনে সরকার উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রায় মানুষের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট অর্থনীতি। এর মধ্যে "স্মার্ট সরকার" একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। স্মার্ট সরকার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক এবং কাগজবিহীন, উপাত্ত-নির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত, স্বয়ংক্রিয় সরকার ব্যবস্থাই স্মার্ট সরকার হিসেবে বিবেচিত হবে। সরকার ‘স্মার্ট সরকার’ বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে যথা, ‘২০২৫ সালের মধ্যে সকল মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের জন্য স্মার্ট ড্যাশবোর্ড তৈরি, ২০৩১ সালের মধ্যে আন্তঃপরিচালিত ফ্রন্টিয়ার-টেকনোলজি নির্ভর ড্যাশবোর্ড এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া হবে উপাত্ত ও এআই-নির্ভর করা’। লক্ষ্যমাত্রাটি বাস্তবায়িত করতে সরকার সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য তৈরি করেছে ‘স্মার্ট ড্যাশবোর্ড’। স্মার্ট ড্যাশবোর্ড হচ্ছে এমন একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো কর্মকর্তা তথ্য-উপাত্ত প্রদান করে তার দপ্তরের জন্য উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়ক হিসেবে স্মার্ট ড্যাশবোর্ড প্রস্তুত করতে পারেন। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ভিজুয়ালাইজেশন করে উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। স্মার্ট ড্যাশবোর্ড সরকার ব্যবস্থার বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত ভিজুয়ালাইজেশনে সহায়তা করে। এছাড়াও প্রথাগত ও অ-প্রথাগত বিভিন্ন উৎসের উপাত্ত ব্যবহার এবং দপ্তর-ভিত্তিক উপাত্ত সমন্বয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে অনেক বেশি প্রমাণ-নির্ভর করে। এই প্ল্যাটফর্মটি যেকোনো ডাটা সেটকে দ্রুত এবং সহজে স্পষ্ট ভিজুয়ালাইজেশন এবং উপস্থাপনের জন্য একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস দেয়। এর মাধ্যমে সরকার-ব্যবস্থার সকল স্তরের কর্মকর্তাগণ তাঁদের দক্ষতা ব্যবহার করে খুব সহজেই উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। যার ফলে, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত, স্বয়ংক্রিয়, নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক এবং কাগজবিহীন সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। স্মার্ট ড্যাশবোর্ড উদ্যোগটি সরকারি কর্মকর্তাগণকে উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত উদ্ভাবনে দক্ষতা বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেয়, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে। স্মার্ট ড্যাশবোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপাত্তকে ব্যবহার করে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ নিশ্চিত করতে এবং সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য উপাত্ত-ভিত্তিক সুশাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। সুতরাং, স্মার্ট ড্যাশবোর্ড - একটি সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম, যা উপাত্ত-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি, উপাত্ত-ভিত্তিক নেতৃত্বের বিকাশ এবং উপাত্ত-নির্ভর সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে। ফলে স্মার্ট ড্যাশবোর্ড ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ এর সফল বাস্তবায়নে অত্যাবশ্যক ভূমিকা পালন করবে।
স্মার্ট ড্যাশবোর্ডের প্রযুক্তিগত ভিত্তি: ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড ফ্রেমওয়ার্ক (এনডিএফ)
স্মার্ট ড্যাশবোর্ড ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড ফ্রেমওয়ার্ক (এনডিএফ) এর ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এটি একটি অনন্য মাধ্যম- যা সরকারের সকল স্মার্ট ড্যাশবোর্ড প্রস্তুতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ডাটা কানেক্টিভিটি
ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন
কাস্টোমাইজড ড্যাশবোর্ড
ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস
ইন্টার-অপারেবিলিটি
সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহায়তা
Homepage